মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো শিশু নুহা ও নাবার শরীরে প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার হয়েছে। এরপর কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার রাত ৯টা থেকে ভোররাত ৩টা পর্যন্ত বিএসএমএমইউতে এই অস্ত্রোপচার হয়।এতে নেতৃত্ব দেন নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নুহা ও নাবার শরীরে টিস্যু বর্ধনকারী যন্ত্র ‘এক্সপান্ডা’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার শেষে ওই দুই শিশু সুস্থ আছে বলে মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। অস্ত্রোপচার পরবর্তী অবস্থায় সাবধানতার জন্য নুহা ও নাবাকে হাসপাতালের এইচডিইউতে রাখা হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মূল অপারেশনের (আলাদা করা) জন্য তাদের প্রস্তুত করতে কতগুলো অপারেশন করতে হয়। এ ধরনের আরও তিনটি অপারেশন করতে হবে।
“দুটো বাচ্চা এখন একসঙ্গে লেগে আছে। আমরা যখন তাদের আলাদা করব, তখন ওখানটা চামড়া দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। চামড়া বাড়ানোর জন্য একটা পদ্ধতি আছে। সেটাই আজ আমরা করেছি।”
আলাদা হবে নুহা ও নুবা, প্রস্তুতিতে চিকিৎসকরা
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নুহা ও নাবার সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছেন। তাদের সুচিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
“চিকিৎসার প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছেন। নুহা ও নাবা ভালো আছে। মেরুদণ্ডে জোড়া লাগানো এই দুই শিশুর অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমি আশাবাদী।”
সোমবারের অস্ত্রোপচারে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটের তত্ত্বাধায়ক ডা. সামন্তলাল সেন, বিএসএমএমইউর নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. আইয়ুব আলী, শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেন, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বনিকসহ ১০ জন চিকিৎসক অংশ নেন।
কুড়িগ্রাম জেলার কাঁঠালবাড়ী এলাকার এক পরিবহন শ্রমিকের মেয়ে নুহা ও নাবার জন্ম গত বছরের ২১ মার্চ। জন্মের কয়েকদিন পর এপ্রিল মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন ও নিউরো স্পাইন সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের অধীনে নুহা ও নাবাকে ভর্তি করা হয়।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম