শিশুদের বাড়তি পুষ্টির জন্য অভিভাবকরা নানান চিন্তায় থাকে। ছোট বেলা থেকেই শিশুদের মুখরোচক পুষ্টিকর খাবার দেয়ার জন্য মা-বাবারা অনেক পন্থা অবলম্বন করেন। কিন্তু দেখা যায় সেসব খাবার শিশুরা সহজে মুখে তুলতে চায় না। এতে অভিভাবকদের কপালে পড়ে চিন্তার ভাজ।
আবার দেখা গেছে কিছু খাবার আছে যা তেমন মুখরোচক না হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এসব খাবার ছোট থেকেই খাওয়ানোর অভ্যাস করলে বাড়বে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
চলুন দেখে নেয়া যাক কোন কোন খাবারে বাড়বে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা…
দই
মিষ্টি দই শিশুদের খাওয়াতে তেমন বেগ পেতে হয় না। কিন্তু টকদইয়েই যত সমস্যা। শিশুরা সাধারণত টক বা স্বাদহীন খাবার খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ এই খাবারটি শিশুদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। হজম বাড়াতেও টকদই সহায়ক।
শস্যদানা
চিপস্, নাচোজ, পপকর্ন ছেড়ে মুগ, রাজমা, বিভিন্ন সবজির বীজ খেতে মোটেই শিশুদের ভালো লাগার কথা না। কিন্তু ফাইবার এবং বিভিন্ন খনিজে সমৃদ্ধ এই শস্যদানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
ডিম
বেশির ভাগ শিশুই ডিম খেতে ভালোবাসে। আবার অনেকেই ডিমের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। অথচ বাড়ন্ত বয়সে শিশুদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং বিভিন্ন খনিজের অভাব পূরণে দিনে অন্তত একটি করে ডিম খাওয়ানোর কথা বলেন চিকিৎসকরা।
রাঙা আলু
তরকারিতে দিয়ে হোক বা মুখরোচক কোনো পদ, আলুর বদলে রাখার চেষ্টা করুন রাঙা বা মিষ্টি আলু। ফাইবার-সমৃদ্ধ এই আলু অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। পাশাপাশি, আয়রনের পরিমাণও বাড়িয়ে তুলতে পারে মিষ্টি আলু।
দুধ
দুধ খেতে পছন্দ করে এমন শিশু খুঁজে পাওয়াই ভার। কিন্তু দুধের মতো পুষ্টিকর, সহজপাচ্য পানীয় আর একটিও নেই। ক্যালসিয়ামে ভরপুর দুধ হাড় মজবুতে সাহায্য করে।
বাদাম এবং বিভিন্ন বীজ
শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য শুধু চিনে বাদাম নয়, আখরোট, কাঠবাদাম, কাজু, পেস্তা— সব মিশিয়ে একমুঠো করে রোজ খাওয়ানোর অভ্যাস গড়তে পারলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বয়োঃসন্ধির মুখে হরমোনের ভারসাম্যে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য শিশুদের কুমড়ো, সূর্যমুখী-সহ বিভিন্ন রকমের বীজ দেয়া যেতে পারে।
বেরিজাতীয় ফল
বর্তমানে টাইপ-২ ডায়বেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। খেলাধুলা না করা, প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত ভাজা খাবার বেশি খাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। ছোট থেকে যদি সামান্য হলেও স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, মালবেরি, রাস্পবেরি— জাতীয় ফল খাওয়ানো যায়, তাহলে হরমোনের সঙ্গে জড়িত অনেক সমস্যার সমাধান সহজ হতে পারে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ সময় নিউজ