নাটোরে স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের প্রায় ১৩ বছর পর অভিযুক্ত যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই টাকা ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। দণ্ডিত যুবকের নাম রনি আহম্মেদ (৩৩)। তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার সময় তাঁর বসয় ছিল ২০ বছর।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়। ওই দিন রাতেই ওই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে অপহৃত ছাত্রীর বান্ধবী, তার ভাই রনি আহম্মেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন। দুই দিন পর পুলিশ অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে সে আদালতে জবানবন্দি দেয়, তাকে সীমান্তবর্তী একটি স্থানে আটক করে রাখা হয়েছিল।
ঘটনাটি তদন্ত করে লালপুর থানার উপপরিদর্শক জামাত আলী ২০১০ সালের ৫ এপ্রিল শুধু রনি আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আসে। ছয়জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে রনি আহম্মেদ জামিনে বের হয়ে পলাতক হন।
সাক্ষ্য–প্রমাণে অপহরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রনি আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার সাইফুল ইসলাম।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আনিছুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত আসামি পলাতক হওয়ার মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেননি।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ প্রথম আলো