সন্তানের জন্ম মানেই মা-বাবার কাছে অপার সুখানুভূতি। তাঁদের এই সুখ ছুঁয়ে যায় পরিবারের অন্য সদস্যসহ স্বজন–প্রতিবেশীদেরও। যুক্তরাষ্ট্রের এক দম্পতির কোলজুড়ে আসা কন্যাসন্তান সবাইকে ভাসাচ্ছে যেন সুখের সাগরে! কেননা, ১৩৮ বছরের মধ্যে পরিবারটিতে এই প্রথম জন্ম হলো কোনো কন্যাশিশুর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যান্ড্রু ক্লার্ক ও ক্যারোলিন ক্লার্ক দম্পতির বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে। গত ১৭ মার্চ ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ক্যারোলিন। তার নাম রাখা হয়েছে অড্রে ক্লার্ক।
অ্যান্ড্রু ও ক্যারোলিনের পরিচয় এক দশকের বেশি সময় আগে। সে সময় ক্যারোলিন জানতে পারেন, ১৮৮৫ সালের পর থেকে অ্যান্ড্রুর পরিবারে কোনো কন্যাসন্তানের জন্ম হয়নি। বিষয়টি চমকে দিয়েছিল ক্যারোলিনকে। অবাক হয়ে তিনি অ্যান্ড্রুকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি কী বলতে চাও?’
এরপর বিয়ে হয় দুজনের। ঘর আলো করে আসে প্রথম সন্তান। সেটি ছেলেসন্তান। নাম রাখা হয় ক্যামেরন। তার বয়স এখন চার বছর। এরপরের দিনগুলো বেশ কষ্টে কেটেছে এই দম্পতির। পরপর দুইবার গর্ভপাত হয় ক্যারোলিনের। তবে আশা ছাড়েননি তাঁরা। সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দেওয়ার আশায় তাঁরা প্রার্থনা করেন। সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, তা নিয়ে মোটেও মাথাব্যথা ছিল না তাঁদের।
‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ নামে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যান্ড্রু জানান, ১৩৮ বছর পর পরিবারে কন্যাসন্তানের জন্মের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর মা–বাবাও।
পরে অ্যান্ড্রু ও তাঁর পরিবার জানতে পারেন, কন্যাসন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন ক্যারোলিন। খবরটি শুনে পরিবারের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যায়। সেদিনের অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে ক্যারোলিন বলেন, ‘এটা কারও বিশ্বাস হচ্ছিল না! সবাই খুশিতে চিৎকার ও লাফালাফি শুরু করে দিয়েছিল।’
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ প্রথম আলো